ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ প্রধান বিচারপতির সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাত রংপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা: ১ লাখ টাকা জরিমানা ১১ জুলাই কুবিতে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে পীরগাছায় বদলি সেনাপ্রধানের সাথে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সেক্রেটারির সাক্ষাৎ শিক্ষার্থীদের ‘লাথি-ঘুষি মারা’ সেই ওসি বদলি মামলা জট কমানো, ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আমেরিকা শুল্ক না কমালে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব প্রভাব পড়বে: বাণিজ্য সচিব 

উখিয়ার পনেরো নম্বর ক্যাম্প থেকে অপহ্নত, টেকনাফ থেকে উদ্ধার:অস্ত্রসহ আটক ৩

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ১৯৭ Time View

উখিয়ার ১৫ নং ক্যাম্প থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টার মাথায় অপহৃত রোহিঙ্গা মো. হাফিজউল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।

এর আগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন মুন্সীসহ ৩জনকে আটক করে র‌্যাব।

এসময় উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রও।

রবিবার বিকেলে র‌্যাব ১৫’র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার আ.ম. ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আটককৃতদের মধ্যে সুমন মুন্সী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, ১১ জুন রাত ১১ টায় উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের সহয়তায় ভিকটিমকে নিজ বসতঘর থেকে ডেকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায় অপহরণকারীরা।

এ খবর পেয়ে র‌্যাব-১৫ ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা ডাকাত সর্দার শাহআলমের বাড়িতে হানা দিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করে। এরপর শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে বরখাস্ত সৈনিক সুমন মুন্সিকে আটক করে। এরপর  সুমনের মাধ্যমে অপহরণকারী ডাকাত শাহ আলম, সন্ত্রাসী রাকিব এবং সন্ত্রাসী শিকদারকে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। আহবানে সাড়া দেয়নি চক্রটি। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য রবিবার র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের ২৫৬ জনবল নিয়ে ভিকটিমকে আটকে রাখার সম্ভাব্য গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টা পরে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড এ্যমুনেশনসহ র‌্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

উখিয়ার পনেরো নম্বর ক্যাম্প থেকে অপহ্নত, টেকনাফ থেকে উদ্ধার:অস্ত্রসহ আটক ৩

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
Update Time : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

উখিয়ার ১৫ নং ক্যাম্প থেকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টার মাথায় অপহৃত রোহিঙ্গা মো. হাফিজউল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।

এর আগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক সুমন মুন্সীসহ ৩জনকে আটক করে র‌্যাব।

এসময় উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রও।

রবিবার বিকেলে র‌্যাব ১৫’র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার আ.ম. ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আটককৃতদের মধ্যে সুমন মুন্সী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, ১১ জুন রাত ১১ টায় উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের সহয়তায় ভিকটিমকে নিজ বসতঘর থেকে ডেকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায় অপহরণকারীরা।

এ খবর পেয়ে র‌্যাব-১৫ ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা ডাকাত সর্দার শাহআলমের বাড়িতে হানা দিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করে। এরপর শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে বরখাস্ত সৈনিক সুমন মুন্সিকে আটক করে। এরপর  সুমনের মাধ্যমে অপহরণকারী ডাকাত শাহ আলম, সন্ত্রাসী রাকিব এবং সন্ত্রাসী শিকদারকে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। আহবানে সাড়া দেয়নি চক্রটি। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য রবিবার র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের ২৫৬ জনবল নিয়ে ভিকটিমকে আটকে রাখার সম্ভাব্য গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে অপহরণের ৭২ ঘন্টা পরে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড এ্যমুনেশনসহ র‌্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।