ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে ২০০০ বন্দির সাজা মওকুফ করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৭৯ Time View

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রায় ২০০০ বন্দির সাজা মওকুফ করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নেতা ১ হাজার ৭৬০ জন বন্দির সাজা মওকুফ করেছেন। আগামীকাল শনিবার অনেক দেশের সঙ্গে ইরানেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

খবরে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এসব বন্দির অনেকের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেন, আবার অনেক বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দেন। যেসব বন্দিকে মুক্তি কিংবা তাদের সাজা কমানো হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আদালত ও ইসলামি বিপ্লবী ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিপ্লবী ট্রাইবুনালের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রচারমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে ক্ষমা ঘোষণার আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেন এজেয়ি এসব বন্দির মুক্তি কিংবা সাজার মেয়াদ কমানোর বিষয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে সুপারিশ করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের প্রধানের সুপারিশক্রমে সর্বোচ্চ নেতা কারাবন্দীদের মুক্তি কিংবা তাদের সাজার মেয়াদ কমানোর অধিকার রাখেন।

অবশ্য এই ক্ষমার বিষয়টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে অথবা অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে জড়িত কিংবা ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি, অপহরণ, ঘুষ এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য এ ধরনের ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঈদে ২০০০ বন্দির সাজা মওকুফ করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

Reporter Name
Update Time : ১১:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রায় ২০০০ বন্দির সাজা মওকুফ করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নেতা ১ হাজার ৭৬০ জন বন্দির সাজা মওকুফ করেছেন। আগামীকাল শনিবার অনেক দেশের সঙ্গে ইরানেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

খবরে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এসব বন্দির অনেকের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেন, আবার অনেক বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দেন। যেসব বন্দিকে মুক্তি কিংবা তাদের সাজা কমানো হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আদালত ও ইসলামি বিপ্লবী ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিপ্লবী ট্রাইবুনালের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।

প্রচারমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে ক্ষমা ঘোষণার আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেন এজেয়ি এসব বন্দির মুক্তি কিংবা সাজার মেয়াদ কমানোর বিষয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে সুপারিশ করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের প্রধানের সুপারিশক্রমে সর্বোচ্চ নেতা কারাবন্দীদের মুক্তি কিংবা তাদের সাজার মেয়াদ কমানোর অধিকার রাখেন।

অবশ্য এই ক্ষমার বিষয়টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে অথবা অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে জড়িত কিংবা ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি, অপহরণ, ঘুষ এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য এ ধরনের ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই।