ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল ও সাজার ব্যবস্থা করব: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে ১৩ নির্দেশনা আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে –পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো ডিসেম্বরেই আসছে মেট্রোরেলের ‘একক যাত্রা’র ২০ হাজার কার্ড শেখ হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

ইমরান খানকে দ্রুত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ১৬৩ Time View

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের নেতা ইমরান খানকে গ্রেফতার বেআইনি ঘোষণার পর এবার তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট।

এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। পরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪ টায় তাকে সুপ্রিমকোর্টে হাজির করার আদেশ দেন দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ডক্টর আকবর নাসির খানকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ইমরান খানকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআই নেতার গ্রেফতারকে দেশের বিচার বিভাগের জন্য ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করার পরে এই নির্দেশ আসে।

ইমরান খানের গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআইয়ের আবেদনের শুনানি করার সময় প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন। তিনি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার।

মুক্তির আদেশের পর যা বললেন ইমরান খান

ইমরান খানের মুক্তির ঘোষণা গোটা পাকিস্তান ও পিটিআই সমর্থকদের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

পিটিআই নেতা ইমরান খান বলেন, আমি চাই না দেশের কোনো ক্ষতি হোক। আমি শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

এ সময় তিনি পিটিআই সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে, তাদের সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর আট দিনের রিমান্ডের নির্দেশও এসেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। তবে গ্রেফতারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হলো গুপ্তহত্যার কবল থেকে বেঁচে ফেরা এই নেতাকে।

পরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে আনা হয়। এ সময় ইমরান খানের গাড়ির সামনে ও পিছনে ১৫ টি গাড়ির বহর ছিল।

সাড়ে ৫টার দিকে আদালতে হাজির হওয়ার পর ইমরান খানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

এরপর ইমরান খানেক গ্রেফতার ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে তাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।

মঙ্গলবার ইমরানকে গ্রেফতারের পর সারাদেশে নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করেছে পিটিআই সমর্থকরা। সহিংসতায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজনের।

উল্লেক্ষ্য, মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গিয়েছিলেন ইমরান খান। এ সময় তাকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানকে গ্রেফতার করতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আদালত চত্বর থেকে কীভাবে একজনকে এভাবে গ্রেফতার করা যায়—এমন প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

ইমরানের আইনজীবীদের দাবি, এভাবে গ্রেফতারের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো—এনএবি)।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন মোহাম্মদ আলী মাজহার ও আতহার মিনাল্লাহ।

শুনানির শুরুতে ইমরানের একজন আইনজীবী হামিদ খান শীর্ষ আদালতকে বলেন, তার মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) একটি মামলায় আগাম জামিন চাইতে এসেছিলেন।

আইনজীবী বলেন, যখন ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার বায়োমেট্রিকের কাজ চলছিল। এ সময় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা ইমরান খানের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে গ্রেফতার করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য নেই। আইনজীবী আদালতকে বলেন, বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আপিল করা যাচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের একটি সম্মান আছে। অতীতের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পার্কিং থেকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল এনএবি। আদালত তখন গ্রেফতারের নির্দেশ প্রত্যাহার করেছিলেন।

প্রধান বিচারপতি তখন ইমরানের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কতজন রেঞ্জার্স সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে? জবাবে আইনজীবী জানান, পিটিআইপ্রধানকে গ্রেফতার করতে ‘১০০ রেঞ্জার্স সদস্য আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকেন’।

আইনজীবী আদালতের কাছে জানতে চান, আদালত প্রাঙ্গণে ৯০ জন একসঙ্গে প্রবেশ করলে আদালতের কি মর্যাদা থাকে? আদালত চত্বর থেকে কীভাবে একজনকে গ্রেফতার করা যায়?

খবর: জিও নিউজ।

Please Share This Post in Your Social Media

ইমরান খানকে দ্রুত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট

Reporter Name
Update Time : ০৯:১৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের নেতা ইমরান খানকে গ্রেফতার বেআইনি ঘোষণার পর এবার তাকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিমকোর্ট।

এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। পরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪ টায় তাকে সুপ্রিমকোর্টে হাজির করার আদেশ দেন দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ডক্টর আকবর নাসির খানকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ইমরান খানকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআই নেতার গ্রেফতারকে দেশের বিচার বিভাগের জন্য ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করার পরে এই নির্দেশ আসে।

ইমরান খানের গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআইয়ের আবেদনের শুনানি করার সময় প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন। তিনি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার।

মুক্তির আদেশের পর যা বললেন ইমরান খান

ইমরান খানের মুক্তির ঘোষণা গোটা পাকিস্তান ও পিটিআই সমর্থকদের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

পিটিআই নেতা ইমরান খান বলেন, আমি চাই না দেশের কোনো ক্ষতি হোক। আমি শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

এ সময় তিনি পিটিআই সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে, তাদের সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর আট দিনের রিমান্ডের নির্দেশও এসেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। তবে গ্রেফতারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হলো গুপ্তহত্যার কবল থেকে বেঁচে ফেরা এই নেতাকে।

পরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে আনা হয়। এ সময় ইমরান খানের গাড়ির সামনে ও পিছনে ১৫ টি গাড়ির বহর ছিল।

সাড়ে ৫টার দিকে আদালতে হাজির হওয়ার পর ইমরান খানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

এরপর ইমরান খানেক গ্রেফতার ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে তাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।

মঙ্গলবার ইমরানকে গ্রেফতারের পর সারাদেশে নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করেছে পিটিআই সমর্থকরা। সহিংসতায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজনের।

উল্লেক্ষ্য, মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গিয়েছিলেন ইমরান খান। এ সময় তাকে আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানকে গ্রেফতার করতে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আদালত চত্বর থেকে কীভাবে একজনকে এভাবে গ্রেফতার করা যায়—এমন প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল।

ইমরানের আইনজীবীদের দাবি, এভাবে গ্রেফতারের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো—এনএবি)।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে আল–কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন মোহাম্মদ আলী মাজহার ও আতহার মিনাল্লাহ।

শুনানির শুরুতে ইমরানের একজন আইনজীবী হামিদ খান শীর্ষ আদালতকে বলেন, তার মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) একটি মামলায় আগাম জামিন চাইতে এসেছিলেন।

আইনজীবী বলেন, যখন ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার বায়োমেট্রিকের কাজ চলছিল। এ সময় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা ইমরান খানের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে গ্রেফতার করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য নেই। আইনজীবী আদালতকে বলেন, বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আপিল করা যাচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের একটি সম্মান আছে। অতীতের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পার্কিং থেকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল এনএবি। আদালত তখন গ্রেফতারের নির্দেশ প্রত্যাহার করেছিলেন।

প্রধান বিচারপতি তখন ইমরানের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কতজন রেঞ্জার্স সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে? জবাবে আইনজীবী জানান, পিটিআইপ্রধানকে গ্রেফতার করতে ‘১০০ রেঞ্জার্স সদস্য আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকেন’।

আইনজীবী আদালতের কাছে জানতে চান, আদালত প্রাঙ্গণে ৯০ জন একসঙ্গে প্রবেশ করলে আদালতের কি মর্যাদা থাকে? আদালত চত্বর থেকে কীভাবে একজনকে গ্রেফতার করা যায়?

খবর: জিও নিউজ।