ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভটিজিং সহ্য করতে না পেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬ Time View

লক্ষীপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃত মো.ওমর ওরফে রাহিম (২০) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের হায়দারগঞ্জিয়গো বাড়ির মো.জাকের হেসেনের ছেলে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের জমিদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে র‍্যাব- ১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওমর। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি ও অবশেষে সফল হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। আর আত্মহত্যা করা মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। বাবা প্রবাসে থাকায় মায়ের সাথে বাড়িতে থেকে সে পড়ালেখা করতেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো।

এছাড়াও ভিকটিমের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায়।

ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য আসামিকে সতর্ক করলে পরবর্তীতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে হুমকি প্রদান করা শুরু করে। ভিকটিম আসামির এ ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করতে না পেরে অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে তার নিজ হাতে একটি চিরকুট লিখে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে। এরপর নিজ বসত ঘরে পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ইভটিজিং সহ্য করতে না পেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষীপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃত মো.ওমর ওরফে রাহিম (২০) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের হায়দারগঞ্জিয়গো বাড়ির মো.জাকের হেসেনের ছেলে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের জমিদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে র‍্যাব- ১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওমর। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি ও অবশেষে সফল হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। আর আত্মহত্যা করা মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। বাবা প্রবাসে থাকায় মায়ের সাথে বাড়িতে থেকে সে পড়ালেখা করতেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো।

এছাড়াও ভিকটিমের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায়।

ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য আসামিকে সতর্ক করলে পরবর্তীতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে হুমকি প্রদান করা শুরু করে। ভিকটিম আসামির এ ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করতে না পেরে অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে তার নিজ হাতে একটি চিরকুট লিখে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে। এরপর নিজ বসত ঘরে পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।