ইবিতে ছাত্রলীগ অনুসারীদের ধরপাকড়
- Update Time : ০২:৫৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২০ Time View
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাকি ইসলামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী জাকি ছাত্রলীগের কোনো পোস্টে ছিলেন না বলে নিজে দাবি করেন। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন জাকি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী ছিলেন এবং ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রমের সাথে সক্রিয় ছিলেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, তাকে ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে আক্রমণ করা হয়।
এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, বঙ্গবন্ধু হলের সামনে পুকুর পাড় থেকে জাকিকে ধাওয়া করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা । ধাওয়া খেয়ে পড়ে গিয়ে তিনি পায়ে আঘাত পান। এরপর, সাদ্দাম হলের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সজীব ইসলাম ও পারভেজ হাসান চয়ন, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাকারিয়া, মুজাহিদুল ইসলাম, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফরহাদ রেজা ওসামাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে বেধরক কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মারধরের এক পর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভির মাহমুদ মন্ডল, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, রাকিবুল ইসলামসহ সমন্বয়ক প্যানেলের সদস্যরা আহত জাকিকে উদ্ধার করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে নিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করান। পরে মোটরবাইকে করে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানভির মাহমুদ মন্ডল বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে আমরা জাকিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি।”
আহত জাকি ইসলাম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি ছাত্রলীগের কোনো পোস্টে ছিলাম না, বরং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম।”
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ক্যাম্পাসে ফিরে পুরো বিষয়টি জানাবো।”
প্রসঙ্গত, প্রতিবেদন লেখার সময়ে আরো কয়েকজন ছাত্রলীগের অনুসারীদের হলের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন “ছাত্রদলের একশন ডাইরেক্ট একশন “,” শিবিরের একশন ডাইরেক্ট একশন “,” সাধারণ শিক্ষার্থীদের একশন ডাইরেক্ট একশন” সহ নানা বক্তব্য ।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়