ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে কোঠা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে শিক্ষকদের ঐক্যমত

মোহাম্মদ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
  • Update Time : ০৮:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫২ Time View

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা । কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আলাদাভাবে দুইটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

বিক্ষোভ মিছিল দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‍্যালের সামনে গিয়ে একসাথে হয়। পরে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আসে।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার প্রধান ফটকে আসে। সেসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে দুপুর ২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একটা যৌক্তিক আন্দোলনের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলাম আমাদের শত শত ভাই বোনদের কেন হত্যা করা হলো। আমাদের ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকব। এই পুলিশ বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে তীব্র নিন্দা জানাই। এই হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার আনা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, জুলাইয়ে সকল ছাত্র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর হয়েছে এগুলা আওয়ামী লীগ ও পুলিশের কারণে হয়েছে। তারা ছাত্রদের ওপরে নির্বিচারে গুলি করেছেন। হামলা করেছে যেগুলো আমরা দেখেছি। আপনাদেরকে বলির পাঠা করেছে সরকার। অতএব, আজ থেকে আপনারা গণহত্যা গণ হয়রানি বন্ধ করেন। আপনারা ছাত্রদের পাশে দাড়ান।

Please Share This Post in Your Social Media

ইবিতে কোঠা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে শিক্ষকদের ঐক্যমত

মোহাম্মদ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
Update Time : ০৮:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা । কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আলাদাভাবে দুইটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

বিক্ষোভ মিছিল দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‍্যালের সামনে গিয়ে একসাথে হয়। পরে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আসে।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার প্রধান ফটকে আসে। সেসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। মহাসড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে দুপুর ২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একটা যৌক্তিক আন্দোলনের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলাম আমাদের শত শত ভাই বোনদের কেন হত্যা করা হলো। আমাদের ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকব। এই পুলিশ বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে তীব্র নিন্দা জানাই। এই হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার আনা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, জুলাইয়ে সকল ছাত্র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর হয়েছে এগুলা আওয়ামী লীগ ও পুলিশের কারণে হয়েছে। তারা ছাত্রদের ওপরে নির্বিচারে গুলি করেছেন। হামলা করেছে যেগুলো আমরা দেখেছি। আপনাদেরকে বলির পাঠা করেছে সরকার। অতএব, আজ থেকে আপনারা গণহত্যা গণ হয়রানি বন্ধ করেন। আপনারা ছাত্রদের পাশে দাড়ান।