ইবিতে কোটা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বিক্ষোভ
- Update Time : ০৬:২০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
- / ২১৭ Time View
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সকাল থেকেই উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। একদিকে কোটা পুনর্বহাল চাই মুক্তিযুদ্ধো সন্তান ও প্রজন্ম। অন্যদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েনা চত্ত্বর এলাকা থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রতিবাদে থাকা শিক্ষার্থীরা । পরে সাড়ে ১১টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবে কোটা পুনর্বহাল চেয়ে মুক্তিযুদ্ধো সন্তান ও প্রজন্ম অবস্থান কর্মসূচি করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডায়েনা চত্ত্বরে এসে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়। প্রতিবাদকারীরা এ সময় তাদের ‘স্বাধীন বাংলাদেশে বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সুইট, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইয়াসিরুল ইসলাম সৌরভ, সায়েম আহম্মেদ, মিজানুর রহমান, জিন্নাত মালিহা মীম, সোহানুর রহমান প্রমুখ।
অন্যদিকে কোটা পুনর্বহাল চেয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো:সাব্বির খান, সহ-সভাপতি আবদিম মুনিব ও মাহমুদুল হাসান সাংগঠনিক সম্পাদক মো:জুয়েল রানা ও মাসুদ রানা, উপ প্রচার সম্পাদক তারিফ মেহমুদ চৌধুরী, উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাইমুনা সুলতানা মীম, এরিনা সুলতানা তারিন, মোছা: হিতুয়ারা খাতুন ও মীম জাহান খুশি প্রমুখ।
কোটা পুনর্বহাল চেয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবে মুক্তিযুদ্ধো সন্তান ও প্রজন্মের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমরা চাই কোটা পুনর্বহাল থাকুক। সংগঠনটির সভাপতি মেজবাহুল ইমলাম বলেন, ‘কোটা পুনর্বহাল থাকবে আমরা এটাই চাই। আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিপক্ষে তারা কখনোই সাধারণ শিক্ষার্থী হতে পারেনা।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সুইট বলেন, ‘চাকুরি পরীক্ষাসহ সব জায়গায় কোটা মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্চিত করা হয়। আমরা এই বৈষম্য নিরসনে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারী চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়