ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মামলা বাতিল

আইন-আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৫ Time View

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মামলা বাতিল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত।

ওই মামলা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন শহিদুল আলম। আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের আগস্টে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই মামলা ২০২৫ সালের ৭ আগস্ট বাতিল করলেন আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারণার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৬ আগস্ট রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেদিন সিএমএম আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতও শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

সে বছরের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মামলা বাতিল

আইন-আদালত ডেস্ক
Update Time : ১২:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মামলা বাতিল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছিলেন আদালত।

ওই মামলা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন শহিদুল আলম। আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের আগস্টে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই মামলা ২০২৫ সালের ৭ আগস্ট বাতিল করলেন আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারণার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৬ আগস্ট রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেদিন সিএমএম আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতও শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

সে বছরের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।