ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবেদ সন্ত্রাসের গডফাদার-চাঁদাবাজ : বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফখরুল

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮৭ Time View

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে সন্ত্রাসের গডফাদার আখ্যা দিয়ে চাঁদাবাজ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি আগে আমার বাসায় বসে বলেছি এ অঞ্চলের সন্ত্রাসের গডফাদারদের নাম। কই আবেদতো আজ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারলেন না, কেমনে তিনি গডফাদার। তিনি আমার মন্তব্যের চ্যালেঞ্জ করলেননা কেন। আমি প্রকাশ্যে বলেছি, গোপনে বলিনি। ঊনার ভাগের চাঁদার টাকা কার মাধ্যমে কিভাবে যায় আমরা জানি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন।

আবেদের কর্মজীবনের প্রসঙ্গ টেনে খফরুল বলেন, চাঁদাবাজি ছাড়া ঊনার সুনির্দিষ্ট পেশা কি। আমিতো ৪০ বছরের কাছাকাছি ব্যবসা করি, তিনি কি করেন। তার পেশা কি, চাঁদাবাজি ছাড়া তার সুনির্দিষ্ট পেশা থাকলে আপনারা আমাকে বলতে পারেন। অথবা ঊনার কোন অনুসারী চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম ঊনার সুনির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। ঊনার পেশা হচ্ছে চাঁদাবাজি, এখন চাঁদাবাজি করতে করতে বড় চাঁদাবাজ-গডফাদার।

তিনি বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কিছু কুচক্রী আছে। যারা দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে। যারা দলকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি,দখলবাজি,লুটতরাজ এবং দলকে বিতর্কিত করে। যে কথা গত ১৪মাস যাবত আমি বলে আসছি। যারা এখন মনে করতেছে আমার রাজনীতির কারণে, আমার মনোনয়নের কারণে, এখানে চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজের গডফাদারদের জন্য এ এলাকাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও অনিয়মকারীরা শঙ্কিত। চাঁদাবাজরা সামনের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত। এখানে কিছু লোক চিহিৃত কুচক্রী। তারা কে কার উসকানিতে কি করছে আমরা সব জানি। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা এখন তাদের নাম বলছি না। কে কাকে দিয়ে কি লেখায় আপনারা সব বুঝেন।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে এবং পরে কোথাও কোন অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বাংলাদেশে অন্ধকার জগতের কোন ব্যবসা কখনো আমি করি নাই। আমার বিশ্বাস সুষ্ঠু মস্তিকে আর কখনো জড়িত হবোও না। এস আলমের ব্যবসার সাথে আমার কোন ব্যবসা নেই। আমাদের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও কুচক্রীর সহযোগিতায় এখানে রাজনৈতিক মাঠকে উত্তপ্ত করার জন্য খেলছে। এর আগেও আমি বলেছি, এখানে চাঁদাবাজদের গডফাদার কে। আমি এখন সেই জায়গায় আছি। কে কার থেকে চাঁদা নেয়, চাঁদা কোথায় যায়, চাঁদার ভাগ কে কে পায়। আমার দলের নামে যারা গডফাদার তাদের তালিকা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রমাণ করে দেব।

ফখরুলের ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্যাহ আল মামুন প্রমূখ।

Please Share This Post in Your Social Media

আবেদ সন্ত্রাসের গডফাদার-চাঁদাবাজ : বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফখরুল

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে সন্ত্রাসের গডফাদার আখ্যা দিয়ে চাঁদাবাজ বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি আগে আমার বাসায় বসে বলেছি এ অঞ্চলের সন্ত্রাসের গডফাদারদের নাম। কই আবেদতো আজ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারলেন না, কেমনে তিনি গডফাদার। তিনি আমার মন্তব্যের চ্যালেঞ্জ করলেননা কেন। আমি প্রকাশ্যে বলেছি, গোপনে বলিনি। ঊনার ভাগের চাঁদার টাকা কার মাধ্যমে কিভাবে যায় আমরা জানি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন।

আবেদের কর্মজীবনের প্রসঙ্গ টেনে খফরুল বলেন, চাঁদাবাজি ছাড়া ঊনার সুনির্দিষ্ট পেশা কি। আমিতো ৪০ বছরের কাছাকাছি ব্যবসা করি, তিনি কি করেন। তার পেশা কি, চাঁদাবাজি ছাড়া তার সুনির্দিষ্ট পেশা থাকলে আপনারা আমাকে বলতে পারেন। অথবা ঊনার কোন অনুসারী চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম ঊনার সুনির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। ঊনার পেশা হচ্ছে চাঁদাবাজি, এখন চাঁদাবাজি করতে করতে বড় চাঁদাবাজ-গডফাদার।

তিনি বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কিছু কুচক্রী আছে। যারা দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করে। যারা দলকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি,দখলবাজি,লুটতরাজ এবং দলকে বিতর্কিত করে। যে কথা গত ১৪মাস যাবত আমি বলে আসছি। যারা এখন মনে করতেছে আমার রাজনীতির কারণে, আমার মনোনয়নের কারণে, এখানে চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজের গডফাদারদের জন্য এ এলাকাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও অনিয়মকারীরা শঙ্কিত। চাঁদাবাজরা সামনের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত। এখানে কিছু লোক চিহিৃত কুচক্রী। তারা কে কার উসকানিতে কি করছে আমরা সব জানি। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা এখন তাদের নাম বলছি না। কে কাকে দিয়ে কি লেখায় আপনারা সব বুঝেন।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে এবং পরে কোথাও কোন অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বাংলাদেশে অন্ধকার জগতের কোন ব্যবসা কখনো আমি করি নাই। আমার বিশ্বাস সুষ্ঠু মস্তিকে আর কখনো জড়িত হবোও না। এস আলমের ব্যবসার সাথে আমার কোন ব্যবসা নেই। আমাদের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও কুচক্রীর সহযোগিতায় এখানে রাজনৈতিক মাঠকে উত্তপ্ত করার জন্য খেলছে। এর আগেও আমি বলেছি, এখানে চাঁদাবাজদের গডফাদার কে। আমি এখন সেই জায়গায় আছি। কে কার থেকে চাঁদা নেয়, চাঁদা কোথায় যায়, চাঁদার ভাগ কে কে পায়। আমার দলের নামে যারা গডফাদার তাদের তালিকা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রমাণ করে দেব।

ফখরুলের ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্যাহ আল মামুন প্রমূখ।