ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে অটোরিকশা চালকের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আহত

আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:১৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২৫ Time View

রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। কয়েক মাস আগে মস্কো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এটি রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক।

বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানান— আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা করার এবং দেশের জব্দ করা সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার।

‘মস্কো ফরম্যাট’ নামে আয়োজিত এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে ল্যাভরভ তালেবান সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তালেবান নিজ দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখার সঙ্গে লড়াই করছে এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর জারী নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দ করার নীতিকেও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে। আফগানিস্তানের সম্পদ ফেরত দেওয়া এবং দেশটির পুনর্গঠন কার্যক্রমে সহযোগিতা করা জরুরি।’

ল্যাভরভ সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী দেশে কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ কতটা ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে, তা ইতিহাস থেকে আমরা জানি। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।’

বৈঠকে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছাড়াও ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ৫টি মধ্য-এশীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, আফগানিস্তানে মস্কোর কোনো সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।

তালেবান ২০২১ সালে পশ্চিমাদের সহায়তাপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে। এরপর তারা নিজেদের মতো করে কঠোর ইসলামি আইন কার্যকর করে। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:১৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। কয়েক মাস আগে মস্কো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এটি রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক।

বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানান— আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা করার এবং দেশের জব্দ করা সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার।

‘মস্কো ফরম্যাট’ নামে আয়োজিত এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে ল্যাভরভ তালেবান সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তালেবান নিজ দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখার সঙ্গে লড়াই করছে এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর জারী নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দ করার নীতিকেও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে। আফগানিস্তানের সম্পদ ফেরত দেওয়া এবং দেশটির পুনর্গঠন কার্যক্রমে সহযোগিতা করা জরুরি।’

ল্যাভরভ সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী দেশে কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ কতটা ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনে, তা ইতিহাস থেকে আমরা জানি। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।’

বৈঠকে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছাড়াও ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ৫টি মধ্য-এশীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, আফগানিস্তানে মস্কোর কোনো সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নেই।

তালেবান ২০২১ সালে পশ্চিমাদের সহায়তাপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে। এরপর তারা নিজেদের মতো করে কঠোর ইসলামি আইন কার্যকর করে। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।