আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে মতভেদ প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে
- Update Time : ১২:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৬ Time View
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশের বৈঠকের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্য একটি অংশ এ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি এবং দাবিগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া না দেখা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করবেন না।
বৈঠকে অর্থ বিভাগের সচিব জানান, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব ইতিমধ্যে জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠানো হয়েছে, যা বর্তমানে কমিশনের বিবেচনাধীন। কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বিষয়েও আলোচনায় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিক্ষকদের দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের এ দাবি শিক্ষক মহলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে, কারণ শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনো কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহকারী শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো—এক. বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা, দুই. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া। এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। ওই দিন শাহবাগে পুলিশি হামলার ঘটনায় শিক্ষকেরা আরও ক্ষুব্ধ হন।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন শাহবাগে পুলিশের বাধা ও হামলার ঘটনায় শিক্ষকরা আরও ক্ষুব্ধ হন। এরপর থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। এখানে প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে আছেন। সম্প্রতি ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার রায় বাস্তবায়নের ফলে অন্য প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে।
জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ১০ম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা।
শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দ্রুত বিদ্যালয়ে ফিরতে চান, তবে দাবি বাস্তবায়নের গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়











































































































































































































