বিশ্বের প্রথম
আকাশ পথে হামলা ঠেকাতে ‘আয়রন বিম’ চালু করল ইসরায়েল
- Update Time : ১১:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২৬ Time View
অবশেষে যেন সায়েন্স ফিকশন বই বা স্টার ওয়ার্সের কল্পকাহিনী বাস্তবে রূপ নিলো। প্রথমবারের মতো ইসরায়েল আকাশ পথে আসা যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিহত করতে লেজার ভিত্তিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে। আয়রন ডোমের আদলে নতুন এই লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আয়রন বিম’।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এই লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূলে আছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন দপ্তর এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান রাফায়েল (রাফাল যুদ্ধবিমানখ্যাত ফরাসি দসল্ট রাফাল নয়)।
আজ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই দপ্তর ও রাফায়েলের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানবাহিনীর হাতে লেজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণভার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ বলেন, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতার লেজারভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি সাফল্যের সঙ্গে বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করতে পেরেছে।’
‘এই পর্বতসম অর্জন আমাদের কাছের ও দুরের শত্রুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন না। ছুঁড়লে পরিণাম ভয়ংকর হবে’, বলেন ক্যাটজ।
প্রায় এক দশক ধরে এই প্রকল্পের কাজ চলছিল। আজকের এই অর্জনকে বিশ্লেষকরা বড় ধরনের মাইলফলকের আখ্যা দিয়েছেন।
রাফায়েলের চেয়ারম্যান ইউভাল স্টেনিৎজ বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের হাতে এখন আকাশ পথে আসা যেকোনো ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি কার্যকর লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। এটা রকেট ও মিসাইলও ঠেকাতে সক্ষম।’
এটি ইসরায়েলের সুপরিচিত আয়রন ডোম ও ডেভিড’স স্লিং ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশটিকে সুরক্ষা দেবে। লেজার ব্যবস্থা প্রথাগত ক্ষেপণাস্ত্রভিত্তিক সুরক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে সাশ্রয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আয়রন ডোমের মাধ্যমে ছোট পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া যায়। ডেভিল’স স্লিং ও কয়েক প্রজন্মের অ্যারো মিসাইল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্য যেকোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা।
ডিসেম্বরের শুরুতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, লেজার ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে এবং মাসের শেষ নাগাদ এটি মোতায়েন করা হবে।
ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা দৃশ্যমান হয়। তেহরান থেকে ছুটে আসা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কাঁচকলা দেখিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে, ওই যুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করেছে এবং এতে ২৮ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন।





























































































































































































