ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩০ Time View

আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত না হলে তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবাই কলঙ্কিত ও পলাতক। তারা বিশেষ সময়ের মধ্যে পুর্নগঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচারণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সকল ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

ড. বদিউল আলম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তারা। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা। এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল।

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশ করব।

সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেওয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।

সুজন সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।

২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সেসময় উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৫:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত না হলে তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে সেটি অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবাই কলঙ্কিত ও পলাতক। তারা বিশেষ সময়ের মধ্যে পুর্নগঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচারণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সকল ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

ড. বদিউল আলম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তারা। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা। এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল।

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশ করব।

সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেওয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।

সুজন সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।

২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সেসময় উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।

নওরোজ/এসএইচ