আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার উত্তর আজিমপুরে রাস্তা ব্লকেট

- Update Time : ০৮:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
- / ২৮ Time View
জুলাই বিপ্লবে হাজার হাজার জনতা ছাত্র-জনতা হত্যার প্রধান কারিগর, নির্দেশদাতা আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার উত্তর’র আজিমপুরে বিকেল ৫টা থেকে রাস্তা ব্লকেট করেছে ছাত্র-জনতা।
পরে ৭ টা ১০ মিনিটে জনদূর্ভোগ কমাতে রাস্তায় অবরোধ তুলে নিয়ে একটি মিছিল বের করে। সেখানে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের বিভিন্ন স্লোগানের মুখরিত করে তুলে রাজপথ। মিছিলটি শহীদ মুদ্ধ মঞ্চে এসে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পার্শ্ববর্তী সড়কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের মঞ্চ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
হাসনাত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের কথা পৌঁছায় না। তাদের কাছে শহীদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না। আমরা এখান থেকে বের হয়ে শাহবাগ অবরোধ করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, ততক্ষণ আমরা অবরোধ করে রাখব।
তিনি বলেন, ইতিহাসের প্রত্যেকটি স্তরে স্তরে আওয়ামী লীগের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। আওয়ামী লীগ যে শুধু ক্ষমতায় থাকাকালীন রক্ত ঝড়িয়েছে বিষয়টি এমন নয়, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। ২০০৯ সালে ভারতের সহায়তায় পিলখানায় আমাদের বিডিআরের সদস্যদের হত্যা করেছে। ১০০টা ফেরাউন, ১০০টা নমরুদকে যদি একসাথে করা হয়, তাহলে একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টারটা ৫ আগস্ট ক্লোজ হয়ে গেছে, এটাকে রিওপেন করার চেষ্টা করবেন না।
এ সময় হাসনাতের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। হাসনাতের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমাদের লড়াই মাত্র শুরু হয়েছে। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে যমুনার সামনে চলা অবস্থান কর্মসূচির সূচনা করেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে যোগ দেন এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, হেফাজত, এবি পার্টি, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।