ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করছি

মোহাম্মদ আলম
  • Update Time : ০২:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬০ Time View

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করবো একথা ভাবতে কোন প্রকার ভীতি বা চাপ অনুভব করছি না। এটা বিগত এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে অনেক বিষয়ে অমিলের একটা উদাহরণ। অবশ্য রাজনৈতিক ও সুশিল সরকারের মধ্যে এটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ড সঠিক পথে আছে কি?

অনেক বিষয়েই সরকারের পদক্ষেপমূলক কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ বলে জনস্রুতি আছে। সংস্কার পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ, রাজনৈতিক অংগসংগঠন নিষিদ্ধকরণ পদক্ষেপ বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও নাগরিক কমটির চাপে ভেঙে পড়া অন্যতম। ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের দৃঢ়তার ঘাটতি ছিল।

আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক সরকারগুলোর কমন প্রতিকৃয়া ছিল, প্রতিপক্ষ বা বিরোধী দল ঘটিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সহিংসতা ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়েছে। সরকারি দলের নেতা কর্মীরা হত্যাকান্ডের সাজা থেকে অহরহ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছে।

অপরদিকে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও বিরোধী নেতাকর্মীরা দিনের পর দিন বছরের পর বছর কারাজীবন কাটিয়েছে। চট্টগ্রাম আদালত চত্ত্বরে আইনজীবি হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিকৃয়া অনেকটা সেরকমই ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনসাধারণ আরও দায়িত্বশীল আরচণ প্রত্যাশা করে বলে অভিমত।

জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। কে বা কাহারা কোন কারণে সহিংস আচরণ করছে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। ঘটনার প্রতিরোধ বা প্রতিকার সরকারকেই করতে হবে। রাজনৈতিক সরকার গুলোর অন্যতম একটা গুয়াড়তমি হচ্ছে দায়ভার না নেওয়া। অতিতে কোনদিনই ভুল স্বীকার করে সরে দাড়ানোর সংস্কৃতি দেখা যায়নি।

৫৩ বছরের ইতিহাসে সরকার প্রধান থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যও কোনদিন ভুল স্বীকার করেনি। যা কিছু ভাল সেখানে যেমন বাহবা দিতে সমস্যা নেই। আবার খারপ কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও কাম্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সেই সংস্কৃতি নেই। অন্তর্বর্তী সরকারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হন তবে দায় নিয়ে ওই ব্যক্তি সরে দাড়াবেন এটা সময়ের দাবি।

যা কিছু ভাল তার জন্য বাহবা দিতে বাঙালি কখনো কার্পন্য করেনি। ঘটনার প্রতিকৃয়া বা প্রতিকারে অন্তর্বর্তী সরকার দিনকে দিন দক্ষতা দেখাচ্ছে। তবে ভাল চলছে মনে করে মুহুর্তের জন্যও অবচেতন হওয়ার সুযোগ নেই। ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে দেশি বিদেশি অপশক্তি। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে এটাও দেখতে হবে জাতীয় জীবনে অগ্রযাত্রায় অন্তরায়গুলো কি কি?

Please Share This Post in Your Social Media

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করছি

মোহাম্মদ আলম
Update Time : ০২:১১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করবো একথা ভাবতে কোন প্রকার ভীতি বা চাপ অনুভব করছি না। এটা বিগত এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে অনেক বিষয়ে অমিলের একটা উদাহরণ। অবশ্য রাজনৈতিক ও সুশিল সরকারের মধ্যে এটাই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ড সঠিক পথে আছে কি?

অনেক বিষয়েই সরকারের পদক্ষেপমূলক কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ বলে জনস্রুতি আছে। সংস্কার পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ, রাজনৈতিক অংগসংগঠন নিষিদ্ধকরণ পদক্ষেপ বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও নাগরিক কমটির চাপে ভেঙে পড়া অন্যতম। ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের দৃঢ়তার ঘাটতি ছিল।

আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক সরকারগুলোর কমন প্রতিকৃয়া ছিল, প্রতিপক্ষ বা বিরোধী দল ঘটিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সহিংসতা ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়েছে। সরকারি দলের নেতা কর্মীরা হত্যাকান্ডের সাজা থেকে অহরহ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছে।

অপরদিকে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও বিরোধী নেতাকর্মীরা দিনের পর দিন বছরের পর বছর কারাজীবন কাটিয়েছে। চট্টগ্রাম আদালত চত্ত্বরে আইনজীবি হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিকৃয়া অনেকটা সেরকমই ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনসাধারণ আরও দায়িত্বশীল আরচণ প্রত্যাশা করে বলে অভিমত।

জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। কে বা কাহারা কোন কারণে সহিংস আচরণ করছে তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। ঘটনার প্রতিরোধ বা প্রতিকার সরকারকেই করতে হবে। রাজনৈতিক সরকার গুলোর অন্যতম একটা গুয়াড়তমি হচ্ছে দায়ভার না নেওয়া। অতিতে কোনদিনই ভুল স্বীকার করে সরে দাড়ানোর সংস্কৃতি দেখা যায়নি।

৫৩ বছরের ইতিহাসে সরকার প্রধান থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যও কোনদিন ভুল স্বীকার করেনি। যা কিছু ভাল সেখানে যেমন বাহবা দিতে সমস্যা নেই। আবার খারপ কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও কাম্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সেই সংস্কৃতি নেই। অন্তর্বর্তী সরকারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হন তবে দায় নিয়ে ওই ব্যক্তি সরে দাড়াবেন এটা সময়ের দাবি।

যা কিছু ভাল তার জন্য বাহবা দিতে বাঙালি কখনো কার্পন্য করেনি। ঘটনার প্রতিকৃয়া বা প্রতিকারে অন্তর্বর্তী সরকার দিনকে দিন দক্ষতা দেখাচ্ছে। তবে ভাল চলছে মনে করে মুহুর্তের জন্যও অবচেতন হওয়ার সুযোগ নেই। ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে দেশি বিদেশি অপশক্তি। অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে এটাও দেখতে হবে জাতীয় জীবনে অগ্রযাত্রায় অন্তরায়গুলো কি কি?