ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি, নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ 

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / ১০০ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

সোমবার (৩ মার্চ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মোঃ মজিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘এই অর্ডার দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব যাতে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক এমন কোনো দুর্নীতি করিনি।’

যেহেতু কোন ধরনের দুর্নীতি করেননি বলে বলছেন তাহলে স্থায়ী পদ থেকে আপনাকে সরানোর ব্যাপারে কী কারণ থাকতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রশাসন আসার পর থেকে আমি অনুভব করেছি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। বলতে গেলে আমার ভাগ্যটা খারাপ। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি।’

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসলে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সাথে এক সেতুবন্ধন করা আমার কাজ। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে আমি কিছু করে ফেলব। অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সাথে ভালোভাবে চলতে পারি।’

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘কী কী অভিযোগ আছে সেটা আমি বলতে পারি না। একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা আছেন। অফিস আদেশের মাধ্যমে আগামীকালই জানা যাবে কারা আছেন।’

Please Share This Post in Your Social Media

অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি, নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ 

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

সোমবার (৩ মার্চ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মোঃ মজিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘এই অর্ডার দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব যাতে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক এমন কোনো দুর্নীতি করিনি।’

যেহেতু কোন ধরনের দুর্নীতি করেননি বলে বলছেন তাহলে স্থায়ী পদ থেকে আপনাকে সরানোর ব্যাপারে কী কারণ থাকতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নতুন প্রশাসন আসার পর থেকে আমি অনুভব করেছি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। বলতে গেলে আমার ভাগ্যটা খারাপ। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি।’

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসলে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সাথে এক সেতুবন্ধন করা আমার কাজ। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে আমি কিছু করে ফেলব। অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সাথে ভালোভাবে চলতে পারি।’

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘কী কী অভিযোগ আছে সেটা আমি বলতে পারি না। একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা আছেন। অফিস আদেশের মাধ্যমে আগামীকালই জানা যাবে কারা আছেন।’